খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার প্রত্যন্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সম্প্রতি সর্ববৃহত্ ঝরনার সন্ধান পাওয়া গেছে। জল-বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করতে গিয়ে উপজেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার তইদুছড়া নামক স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মিঞা এই ঝরনার সন্ধান পান।

জানা যায়, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মিঞা জল-বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করতে গিয়ে উপজেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বোয়ালখালী ছড়ার শেষাংশ তইদুছড়া নামক স্থানে যান। তইদুছড়ায় গিয়ে দেখা যায়, জনমানবশূন্য পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় আর পাহাড়। প্রতি পাহাড়েই রয়েছে আদিবাসীদের দৃষ্টিনন্দন জুম।

চারদিকে সবুজের সমারোহ। আরও সামনে এগোতেই সবার নজর কাড়ে বিশালাকার পাহাড়ি ঝর্না। দীঘিনালা উপজেলায় এই প্রথম বিশালাকার এই পাহাড়ি ঝর্না দেখে সবাই আত্মহারা হয়ে পড়েন। ঝর্নার কাছে গিয়ে দেখা যায়, পাথুরে পাহাড়ের বুক চিরে নিচে ঝরে পড়ছে পানির ঝর্নাধারা। পাহাড়ি ঝর্নার নিকটেই রয়েছে বিশালাকার জলপ্রপাত। স্থানীয় আদিবাসী যুবক অজিত কুমার ত্রিপুরা জানান, পার্বত্য জেলার সব ঝর্না শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে গেলেও তইদুছড়া ঝর্নায় সারাবছর পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকে। এ ব্যাপারে আদিবাসী নৃ-তাত্ত্বিক গবেষক ও শিক্ষক রাজীব ত্রিপুরা জানান, এ ঝর্না দেখে মনে হচ্ছে, এটিই পার্বত্যাঞ্চলের সর্ববৃহত্ ঝর্না। এ ঝর্নাকে পর্যটন কেন্দ্র হিবেসে গড়ে তোলা হলে এখানে সারা বছরই পর্যটকে মুখরিত থাকবে।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মিঞা জানান, এ ঝর্না দেখে মনে হচ্ছে, শুধু পার্বত্য জেলায় নয়, এটি সমগ্র বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ প্রাকৃতিক ঝর্না। তইদুছড়া ঝর্নাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাতে উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।

– দৈনিক আমার দেশ