কেশের রঙ যাই হউক, কেশ বন্দনা হয়ে এসেছে যুগে যুগে। কেশ বন্দনার ঠাই কোথায় না আছে। প্রাচীন ব্যবিলীনিয় নারী গন থেকে শুরু করে বাঙ্গালী বনলতা সেন, শেষাব্দি খায়রুন বিবি’র লম্বা চুল পর্যন্ত। কথা শিল্পী শরত বাবু আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে ঘাড় ব্যথা করে কেশ কেনো, টিকিটির সন্ধান না পেলও কেশ মহিমা বন্ধ করতে পারেন নি। কেশ তারিফ কবিতা সাহিত্য, গানে আর্ট কোথাও বাদ পড়েনি। ছোটবেলা “গিফট অফ ম্যাগাই (মেজাই)” প্রেমিকের জন্য উপহার কিনে দেয়ার পয়সার যোগানে প্রেমিকা সুন্দর চুল কেটে বিক্রি করেছিলো। তখন মর্মাথ উদ্ধার করতে পারিনি। গ্রীক/হিন্দু পৌড়নিকে চুলের মর্যাদা বর্ননাতীত। ইসলামের সংস্কৃতিতে পুরুষের বাবরী চুলের বীরত্বগাথা থাকলেও মেয়েদের চুলকে রাখা হয়েছে “হিজাববন্দী” । মুসলিম নারীগন চুলের প্রশংসা ছিলো অন্দরমহলেই সীমাবদ্ধ। নিজ নিজ স্বামী গন স্ত্রীগনের কালো কেশের বাহারে মন পইরা রয় পাহাড়ে’তে কত টুকু স্বতঃসিদ্ধ ছিলো বলা মুশকিল। তবে ব্যক্তিগত ভাবে এলাকার কিছু সংখ্যক ধর্মীয় হুজুরান আমার “ নাটক গান” পছন্দ না করলেও ,অন্তত নবীজির সুন্নত আমার বাবরি চুলের তারিফ করেন সমঃস্বরে। যাই হোক, আমার মুসলিম চাচী ফুপুদের চুলের পরিচর্যা এবং সৌখিনতায় বাল্যবেলাতে আমি হতাম মুগ্ধ। দেখতাম, কাক পক্ষীর অশুভ দৃষ্টিতে অকালে চুল বিলুপ্তির ভয়ে চুল আঁচড়ানোর পর ঝরে যাওয়া অথবা চিরুনী বদ্ধ কেশগুচ্ছ সযতনে পেচিয়ে পাচিয়ে ঘরের আনাচে কানাচে সংরক্ষন করতেন। তাই আমি বরাবরই “কেশলোভা” এবং কেশকৌতুহলি।
আমাদের গ্রামে হরেক রকমের ফেরিওয়ালাদের প্রাদুর্ভাব ঘটে ঋতুভেদে। ছোটবেলা থেকেই গুরুজনদের নিষিদ্ধ করা ঐ ফেরীওয়ালাদের নোংরা খাবারে আমি আকৃষ্ট। ধানের বিনিময়ে গরম গরম জিলাপী, আম। বোতল ভাঙ্গা, চিমনি ভাঙ্গা্,লোহা লক্কর দিয়ে “কটকটি”নামক আজব এক জিনিষ। বলা বাহুল্য, ধানের বদলে আম, জিলাপীর পরিমাপটা কিশোর মননে যুক্তি সংগত হলেও কটকটির ধার্য্যকৃত তুলাদন্ডে’র নিরুপন পরিমাপে আমি বড়ই ব্যথিত হতাম।
নানা কারনে গ্রামের শিশুদের সাথে আমার সখ্যতা বেশ। যাক, একটা’র চেহারা ছবি একটু আতা ভোতা প্রকৃতির। আদর করে ওকে ডাকি “ভুতি”। অযত্নে চুলের রঙ হয়েছে বাদামী। শীতের পাদুর্ভাবে ঠোট গালে ফুটিফাটা, প্রায়ই ইচ্ছা করে আমার ফুট ফরমায়েশ খাটে। চেহারার কোথায় যেনো একটা ফিলোসফি মার্কা ভাব আছে। কথা বার্তাতেও যথেষ্ট মুরুব্বী আনা। বেশ কয়েকদিন ধরে দেখে বাড়ীর আনাচে কানাচে পরিত্যক্ত ভাঙ্গা চুরা কুড়াতে। মাত্র নাস্তা করে বসেছি আস্তে আস্তে আমার ঘরে এসে ঢুকে।
-কিরে ভুতি এত সকালে? জিজ্ঞাস করি।
-নিশ্চুপ ঠায় দাড়িয়ে রইল মাথা নিচু করে, বেশ কিছুক্ষন মেঝের দিকে তাকিয়েই বলতে থাকে-
– দশটা টাকা দিবেন?
– এত টাকা দিয়ে কি করবি!
-কালা মেন্দি (মেহেদী) কিনমু।
-কালা মেন্দি! বলিস কি’রে সারাজীবনের জানা কথা- মেন্দি হয় লাল রঙের-
-কালা মেন্দি চুলে দেয়, চুল কালো হয়।
আমি বললাম, যা- চুলে গিয়ে তেল দে কালো হবে। যাক, বুঝতে পারলাম কালো মেন্দী (ডাই/কলপ) জাতিয় কিছু হবে, কথা না বাড়িয়ে- দশ টাকা হাতে পাওয়া মাত্রই, ছুট।
পরের দিন। শীতের নাক মুখ ফাটাফুটি ভুতি আবির্ভুত হলো “মেঘ বরন কেশে”। বুঝতে পারলাম ভুতির পরিচর্যা বিহিন রুক্ষ কেশ রাজি তে দশ টাকার “কালা মেন্দির কেরামতি”। ছোট খাটো দেহের তুলনায় ওর চুল একটু বেশী এবং চুলের রং অসম্ভব রকমের গাঢ় কালো বর্ন ধারন করাতে ভুতি’কে কেমন জানি পেত্নী পেত্নী লাগছে। জিজ্ঞাস করেই ফেললাম-
– কিরে চুল এত কালো করলি কেনো। জবাব না দিয়েই ও হাসলো মুচকি।
বর্ষাকাল। এলাকাতে এক- নতুন ফেরীওয়ালার আগমন ঘটেছে, লোকটা পাড়ার বৌ ঝি দের মাঝে অসম্ভব জনপ্রিয়। যে দিক দিয়েই হাতের টুং টাং এর ঘন্টী টা বাজিয়ে হেটে যায়, সেদিকেই আড়াল আবডাল থেকে উঁকি ঝুঁকি দিতে দেখা যায় ঘোমটা টানা বৌ ঝি’দের সলজ্জ মুখাবায়ব। ছেলে মেয়েদের – “এই বেডা!! এই বেডা!!” তারস্বরের চেচামেচিতে ফেরীওয়ালা “ভারবাঁশ” টা সমেত উপবিষ্ট হয় আমদের বসার ঘরের সামনের চিলতে উঠোনে। যেমন আমি উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে দেখি, আস্তে আস্তে দেউরির ওপাশ থেকে সমবেত মহিলা দলটাও ফেরীওয়ালাকে দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে। কেউ সাহস করে ফেরীওয়ালার কাছে ভিড়ে কেউবা দেউরির পেছনেই। ইতিমধ্যে ভুতি সদলবলে হাজির।হাফ প্যান্টের কোমরে সযত্নে গোজা কি যেনো পুটলি ধরনের জিনিষ অতি সাবধানে ফেরীওয়ালার হাতে দেয়। দেউরির ওপাশ থেকে অন্যরাও ইশারা ইঙ্গিতে কি যেন ফেরীওয়ালার হস্তগত করার তড়িঘড়িতে ব্যস্ত।
ওরা আমার উপস্থিতি আঁচ করতে পারলে বিব্রত হবে কি না হবে, সেটা না ভেবেই এগিয়ে যাই। আমার ধারনা কে ভুল করে দিয়ে দেখি, বাচ্চা মেয়ে গুলু পালস্টিকের কাগজে জড়ানো চুল নিয়ে ফেরীওয়ালার সামনে বসে আছে, ফেরীওয়লা বিশ্বখ্যাত চুল বিশারদের ভাব নিয়ে, পারলে আতশী কাঁচে চুলের চুল চেড়া বিশ্লেষনে মগ্ন, চুলের আকার, প্রকা্র রঙ দৌর্ঘ্য ভেদে মুল্য নির্ধারন করছে ফেরীওয়ালা। “কোয়ালিটী কেশগুচ্ছের” জন্য অফার করা হচ্ছে, টাকা আর “ভেজাল কেশ গুচ্ছের” জন্য কটকটি নামক আমার পছন্দের জিনিশ। ভুতির চুল পরেছে “কটকটির” ভাগে-কারন চুলবিশারদ ফেরীওয়ালা ভুতি’কে সাফ জানিয়ে দিয়েছে- ওর কালা মেন্দী মারা চুল “ভেজাল” – ইতিমধ্যে ভুতি বেজায় মূখরা রমনীর ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছে। ভালো করে দেখলাম ভুতির চুলের দৈর্ঘ্য অসম্ভব বেমানান ভাবে খাটো হয়েছে। বেশ লক্ষ্য করলাম, এই বানিজ্য তে লাভবান দলটি হলো দেউরির আড়ালে’র। আর ঐ যে বেল মাথার পিচ্চি মেয়েটা- ফেরীওয়ালা আর দেউরি দলের মাঝে দৌড়াদৌড়ি করে কেশগুচ্ছ আর টাকা পয়সার আদান প্রদানে মধ্যস্থতা করলো ও। খুশি হওয়া ফেরীওয়ালার কাছ থেকে পেলো কটকটি কমিশন, আর বউ ঝি’দের কাছ থেকে শিকি আধুলি।
অভুতপুর্ব ঘটনা থেকে জেনে গেলাম- হ্যারিকেন চিমনি ভাঙ্গা, বোতল ভাঙ্গা আর জং ধরা লোহা লক্করের বিনিময়ের কটকটি বুট/বাদামের জায়গাটা দখল করে নিয়েছে-কালো কেশ।
ফেরীওয়ালা’র টাকা পয়সা গুনাগুনি শেষ। অনেক ক্ষনের নীরব দর্শক ভেবেই হয়তো বেশ বিনয়ের সাথে ফেরীওয়ালা ভাই আমাকে জিজ্ঞাস করলো-
-বাইছাব, একটু কটকটি দেই, খান- একদম ফেরেশ, গত রাইতের বানানু।
ফ্ল্যাশব্যাকে ফিরে যাই দূরন্ত কৌশরে- হাত পেতে নিয়ে মুখে পুরি কটকটি- আহ!স্বাদে গন্ধে এখনো অপরিবর্তিত। চিবুতে চিবুতে অনেক ক্ষন যাবত জানতে চাওয়া প্রশ্নটা জিজ্ঞাস করি-
– ভাই, চুল কিনে কি করেন?
-জানি না ভাই, আমি তো নিয়া যাই করিমগঞ্জ পর্যন্ত। তয় শুনছি চট্টগেরাম থেইক্কা বিদেশে চালান হয়। বিদেশে মেয়েদের মাথার পরচুলা বানায়- ঐ পরযন্তই।
ধাক্কা খেলাম। নিজকে সামলিয়ে ফেরীওলাকে সাভাবিক করার জন্য বললাম- নিতেই তো পারে বাঙ্গালী মেয়েদের চুলের সৌন্দর্য্য – বিশ্ব জোড়া। কিন্তু ভাই, চুলের মধ্যে উকুন বাকুনে’র কি করেন-
হেঃ হেঃ আওয়াজে হেসে দিয়ে ফেরোওয়ালা ভাই জানায়-
-ভাই’রে এখানেই তো মুশকিল, অনেক পরিক্ষা নিরীক্ষা কইরা কিনতে অয়। ল্মাবা, কালা চুলের চাহিদা বেশী। তারপরেও পুংডী ছিইরাইনে কালা মেন্দী মাইরা চুলেরে বরবাদ কইরা লায়। চিন্তায় আছি, ইচা মাছের লাহান চুলে’র বিজনিছ টাও যদি আমারার দ্যাশ থেইক্ক্যা চাঙ্গে উডে।
ভারবাঁশ টা কাধে তুলে ফেরীওয়ালা হাতের ঘন্টি টুং টাং বাজাতে বাজাতে অদৃশ্য হয়।
গ্রীস্মকাল। টুং টাং ঘণ্টা বাজিয়ে চলছে অত্যাধুনিক আইস্ক্রীম ভ্যান- লেক মিশিগানের পাড়ে। হেটে চলছে হাজার হাজার ভ্রমনপিপাসু নর নারী। আমিও হেটে চলছি। সাথে দেশ থেকে বেড়াতে আসা আত্মিয়। অদ্ভুত সুন্দরী উজ্জ্বল শ্যামলা (কৃষ্ণকায়িনী) দির্ঘাংগিনী মেয়েটা হাটছে আমাদের সামনে। ছোট ছোট বেনী (ব্রেড) করা। চুল নিতম্ব ছাড়িয়ে।
-বাবজী, এদের চুল এত সুন্দর কিভাবে- জিজ্ঞাস করেন দেশের মেহমান।
-মামা, এগুলি তো আমাদের বঙ্গনারী’র চুল, হয়তো বা আমাদের এলাকার ও হতে পারে!
-আরে কওডা কি মিয়া?
-জ্বী মামা।
-বিষয় টা খুইল্লা কওছে বেডা -মামার চোখ উতসুকে ঝানাবরা হয়।
মামা’কে ব্যাপারটা খুলে বললাম। জানালাম- মামা, সব আফ্রিকান আমেরিকান মেয়েদের চুল খুব বেশী সুন্দর হয়, না। ইদানীং কৃশ্নাংগিনী মেয়েরা চুলের ফ্যাশনে শ্বেতাংগিনী দের চে খুবি সচেতন। কিন্তু ওদের চুলের দৈর্ঘ্য এত বেশী না বলে ওরা ওদের বেনীর সাথে “এক্সটেন্ডার” বা “বর্ধিতাংশ” চুল যোগ করে। আর এই কালো কেশ গুলু আসে দক্ষিনপুর্ব এশিয়ান দেশের নারীদের মাথা থেকে।
মামা হতবিহবল হয়ে আমার কথা গুলু শুনতে থাকেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন নারী বেনীগুচ্ছ পিঠে দুলিয়ে, নাচিয়ে আমাদের পাশ কেটে যায়। বাংগালী নারীর দুঃখী কেশগুচ্ছ, হাওর পারে কালা মেন্দির ভুতি- আমার দৃষ্টি মিশিগান হ্রদের বাতি ঘরে আছড়ে পড়া ঢেউয়ে আটকে যায়। মামা বলেন- আরে দেহ মিয়া, আমরার হাওরের মতোই তো। আমি স্বম্বিত ফিরে পাই।
অনেক গুলু বছর যাবত চুলকাটার সময় মার্কিনী নাপিতবৃন্দ( হেয়ার ষ্টাইলিষ্ট) সৌজন্যতার জন্যই হউক, আর পছন্দের জন্যই হউক সময়ে সময়ে আমার চুলের তারিফ করে। তবে, আশ্চর্যের বিষয় হলো এখানে কেউ চুল কাটালে বা ছোট করালে কাছের মার্কিনী বন্ধু/শিক্ষক বা সহকর্মী’রা বেশ খেয়াল করে থাকে।এবং চুল কাটা’র বা ছাঁটার প্রশংসা করে।
আমার এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা সহকর্মী।বয়স ষাটোর্দ্ধ। দেখি দুপুরের খাবারের (বিরতি) সময়া ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে। অনধিকার চর্চা ভেবে কারন জিজ্ঞাস করি না। একদিন পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি, আমাকে দেখেই চোখ মুখ মুছে জিজ্ঞাস করে-
– বাহ সুন্দর চুল ছেটেছো তো! একটা কথা বলতে পারি?
-অবশ্যই পারো
-তোমাদের এশীয় লোকজন দের চুল খুবি সুন্দর।
-ধন্যবাদ।
মহিলার চোখে’র জল লুকানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। বলতে শুরু করে –“তোমার কাটা চুল গুলু তুমি কি করো?” আমি হতচকিতে জবাব দিলাম – ওগুলো তো নাপিতের ফ্লোরেই পড়ে থেকে, পরে কি হয় তা তো জানি না । আমার মুখ থেকে আমার বাক্য’টা কেড়ে নিয়ে বলে- “কেনো, ছেঁটে ফেলে দেয়া চুল গুলো তুমি ডোনেট (দান) করতে পারো না! আমি হতচকিতে বলি চুল ডোনেট করা যায়, কোথায়? মহিলা বলতে থাকে “অনেক সংগঠন/সংস্থা আছে ভালো চুল সংগ্রহ করে”। মহিলার দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রই- মহিলার গলা ভারী হয়ে ধরে আসছে, আটকে যাওয়া বাস্পরুদ্ধ কন্ঠে বলে যেতে থাকে- “ আমার আদুরের মেয়েটা কিমো থেরাপীতে অনেক কষ্ট করছে, ওর মাথায় খুব সুন্দর চুল ছিলো। একটাও আর নেই। মরে যাবে সে খেয়াল নেই, কিন্তু চুল গুলুর জন্য মেয়েটা আমার অনেক আফসোস করছে। ঠিক রঙের পরচূলা কোথাও মিলছিলো না। অবশেষে অনেক খোজাখুজির পর একটা সংস্থা’র খোজ পাওয়া গেলো যারা দক্ষিনপূর্ব এশীয় দেশের নারীদের চুল সংগ্রহ করে, পরচুলা বানিয়ে বিক্রি করে অথবা যাদের কেনার সামর্থ্য নেই তাদের কে অর্দ্ধমুল্যে বা বিনা মূল্যে দিয়ে থাকে। আমার মেয়ের জন্য আমি ওখান থেকেই ওর পরচুলাটা পাই। আমার মেয়ে অনেক খুশি। তুমিও ইচ্ছা করলে তোমার ছেটে ফেলা চুলগুলো ঐ সংস্থা’তে দান করতে পারো।
জানি না কেনো- আমিও নিমিষে অস্রুশিক্ত হই, আমার ঝাপসা চোখে আস্তে আস্তে ভাসতে থাকে দেশে ঘরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রাখা চাচী ফুফুদের কেশগুচ্ছ। কালো মেন্দির ভুতি, আর হাওর পারের দেউরির অন্যপাশে লুকিয়ে থাকা বৌ, ঝি’র দীঘল কালো কেশে আরক্তিম সলাজ কিছু মুখ প্রতিচ্ছবি।