ঘাসের বুকের থেকে কবে , আমি পেয়েছি যে আমার শরীর-
সবুজ ঘাসের থেকে, তাই রোদ ভাল লাগে-
রুপসী বাংলার কবির কাছে আমরা মানে ঘাসেরা খুবই কৃতজ্ঞ।আমরা তা৬র অতি অন্তরঙ্গ বলেই-তিনি বলেছেন-পৃথিবীর সব সুন্দর লেগে আছে ঘাসে,-কত সব নাম-মধুকূপী,পরথুপী,কানদুলী গন্ধভাদুলী।
ঘাসেরা উদ্ভিদ জগতের এক মস্ত বড় পরিবার।পৃথিবীতে আমাদের প্রায় দশ প্রজাতির ঘাস রয়েছে।তোমাদের দেশেও আমাদের সংখ্যা কম নয়।কম পক্ষে ৪০০ প্রজাতির বাস।অতি ক্ষুদ্র দূর্বা ঘাস থেকে বিরাট ল্মবা বাঁশ আমাদের পরিবারভূক্ত।
বাইবেলে উল্লেখ আছে-All fless is as grass,and all the glory f men as the flower of grass. শুনে অবাক হবে-পৃথিবীর সমস্ত খাদ্য ভান্ডারের বেশির ভাগই পূরন হয় আমাদের ফলন থেকে।যেমন-ধান গম, ভূট্টা, জোয়ার, বার্লি, কাওন, বাজরা, আখ। এক কথায় মানুষ য় পশুপাখির খাবারের সিঙ্ঘ ভাগ আমরাই উৎপাদন করে থাকি।
আর আমাদের প্রতি তোমাদের অবজ্ঞা দেখে মর্মাহত হয়ে যাই।এ ধারণা আমার কথায়ঃ গ্রীষ্মের শেষে, বর্ষারর আরম্ভে নিচু অঞ্চলে-বিশেষ করে খালবিলের ধারে আমার খয়েরি রঙের ফুলের উচ্ছাস দেখতে পাবে সর্বত্র।কুমিল্লা, নাটোর, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ- দেশের সব জায়গায়।ঘন সবুজ পাতার মধ্যে আমাদের উজ্জ্বল খয়েরি গুচ্ছ গুচ্ছ ফুলের ঝাড় দেখতে অতি মনোহর।কেউ বলে কাইশ্যা।আসলে আমি কাশ নই-আমি খুড়িঘাস।আমার বৈজ্ঞানিক নাম-Sclerostachya fuca.(Gramineae)
– ডঃ নওয়াজেশ আহমদ