মধ্যবিত্ত আকাশ
ললিপপের মতো সকালের রোদ খেয়ে কী আর মন ভরে?
তাই কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতবুড়িকে গোপনে চুম্বনে চুম্বনে উষ্ণ করে তুলি
আর মৃদু স্বরে বলি – পৃথিবীতে বারুদ নয় ভালোবাসার বৃষ্টি বর্ষিত হোক;
ভিখিরির থালার মতো আমাদের মুখ আদমের নিঃসঙ্গতাকে পুনঃপুন আলিঙ্গন করে।
গন্ধমের নেশায় এখনও অস্থির পৃথিবীর কূটনীতিক ক্যানভাস।
চাহিদার লোনাজলে ভ্রষ্টতার তরী ব্যাবিলন, সুমেরু হয়ে বৈশ্বিক অলিতে গলিতে।
প্রাচীন সভ্যতার দানপত্রে ন্যায়ের প্রলেপ লাগিয়ে নতুন করে তুলি আমাদের লোভের আকাশ।
নিঃসঙ্কোচে অনুভূতির জানালা খুলে চিন্তার ব্যাকরণ নিয়ে বসি;
অনুভূতির মধ্যবিত্ত আকাশ বড়ই অদ্ভুত!

 

আলোর বিস্ফোরণ
হাস্যরসের মদ্যপান করে  তোমাকে যখন এক পৃথিবী আদর দিলাম,
তুমি তখন রাত্রির অন্ধকার চেটেপুটে খেয়ে বললে- চল চাঁদের দুধে স্নান করি
আমি তখন মুগ্ধতার অন্দর মহলের মাত্রা ধরে হাঁটি
কিন্তু তুমি?
তুমি তখন মনের বার্ধক্যের বীজতলায় দীর্ঘশ্বাস চাষাবাদ করো
তোমার মস্তিষ্কের অলস টেলিভিশন কেন্দ্রে তখনো এক পৃথিবী আলোর বিস্ফোরণ

নগ্ন ঈশ্বর
সভ্যতার ব্যালকনির অন্ধগলি জুড়ে প্রাগৈতিহাসিক ক্ষুধা রোমাঞ্চের ক্যানভাসে ঢেকুর তুলে; অন্ধকার চেটেপুটে খেয়ে চিন্তার আদিম গুহায় নগ্ন ঈশ্বর;  বৈশ্বিক আকাশ জুড়ে যৌনবৃষ্টি প্রাচ্য পাশ্চাত্যের দেয়াল ডিঙিয়ে ময়নাদ্বীপের পথে।

রাত্রির ব্যাকরণ!
নীতির দরজায় কবাট অতঃপর তোমার তৃতীয় চোখ জুড়ে নামে বৈশ্বিক উষ্ণতা।
হাজার বছরের ঐতিহ্যে স্নান করা চৈনিক সভ্যতার কারুকাজ তোমার শরীর জুড়ে।
মিশরীয় সভ্যতার সুগন্ধি গলাধঃধকরণ করে তুমি এখন বয়সী সুন্দরী!
আদর্শের দ্রাঘিমা রেখায় ঘুঙুরপরা নৃত্যের বিদগ্ধ ক্যানভাস
পোয়াতি অন্ধকারে যোনি জুড়ে প্রাগৈতিহাসিকতার প্রচ্ছদপট
ভাবের ওলানে একমুঠো ইচ্ছের যৌনতা অতৃপ্ততার ঢেকুর তোলে
চাহিদার শিল্পাঞ্চলে খা খা রোদ্দুর।
বোধের ভিতর থেকে শীতবুড়ির গোপন চুম্বন কুয়াশার ভিতর দিয়ে রাত্রির পথে।
অথচ তুমি এখনো জানলেই না রাত্রির ব্যাকরণ!


স্বামীরাই গর্ভবতী
গোধূলীর মতো অফুরান প্রাণের সার্বজনীন বউ আজ কোথাও নেই –  যে সাহিত্যের মাত্রা ধরে হাঁটবে অনন্তকাল, পূর্ণিমার ভরা জোছনা চেটেপুটে খেয়ে কবিতার বাসরে স্নান করবে – শাদা মেঘের বুক দোহন করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে – প্রজাপতির আল্পনায় বিশ্ব সাজাবে; শাব্দিক প্রজননের পাবলিক ক্যাম্পাস জুড়ে শুভ্রতা ছড়াবে – কালিক ক্যানভাসে আজ দুষ্প্রাপ্য সার্বজনীন বউ! অস্পৃশ্য উষ্ণতা গলাধঃকরণ করে এখনো  চিন্তার চরাঞ্চলে সব স্বামীরাই গর্ভবতী।