ওপেনার তামিম ইকবাল শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। ইংলিশ বোলারদের নাভিশ্বাস তুলেছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তার ইনিংসটি। ২২ বলে ২৮ রানে আউট হয়েছেন তিনি (এএফপি)
আগের দিন তামিম ইকবালের নাম আলাদা করে বলেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। বলার যথেষ্ট কারণও ছিল, গেল জুনে লর্ডস এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে টানা দুই সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ডকে বিপদে ফেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এ তামিমই। ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরেও যথেষ্ট ভুগিয়েছিলেন তিনি। আর গতকালও নটিংহামের টেন্টব্রিজে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬.১ ওভার পর্যন্ত ইংলিশদের বেশ ভালোই ভোগালেন তামিম। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৭৫ রান। রকিবুল ৫৬, সাকিব ১৪ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুতেই তামিমের ব্যাটে বিস্ফোরণ দেখে স্ট্রাউসের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল। জেমস অ্যান্ডারসনের প্রথম ওভার থেকে আসে ১১ রান। সব রানই এসেছে তামিমের ব্যাট থেকে। তার প্রথম বলকে তামিম মিড উইকেট ও দ্বিতীয় বলকে পয়েন্ট দিয়ে পাঠান সীমানার বাইরে। অ্যান্ডারসনের মতো দ্বিতীয় ওভারে টিম ব্রেসনানকেও বাউন্ডারি মেরে স্বাগত জানান এ বামহাতি। তার প্রথম বলকে কাট করে পয়েন্ট দিয়ে চার হাঁকানোর পর দ্বিতীয় বলকে বাউন্ডারিতে পাঠান ফাইন লেগ দিয়ে। দুই ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে জমা হয় ২২ রান। এর ২০ রানই তামিমের। এ থেকে বোঝা যায়, কতটা মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় ওভারে অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় বলকে মিড অন দিয়ে বাউন্ডারি মেরে হাত খোলেন ইমরুল কায়েসও। ইংলিশ অধিনায়ক বাধ্য হয়েই পঞ্চম ওভারে অ্যান্ডারসনের জায়গায় নিয়ে আসেন স্টুয়ার্ট ব্রডকে।
তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল খানিকটা নিচু হয়ে আঘাত করে তামিমের প্যাডে। ইংলিশদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। ২২ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ রান করে আউট হন তামিম। তবে টেলিভিশন রিপ্লে পরিষ্কার দেখা গেছে, বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল।
জুনায়েদ এসে জুটি বাঁধেন ইমরুলের সঙ্গে। দলীয় ৭০ রানে এ জুটি ভাঙেন অ্যান্ডারসন। মরগ্যানকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে ফিরে যান ইমরুল। তবে তামিমের দুর্দান্ত শুরু ধরে রাখেন জুনায়েদ ও রকিবুল। ৬৭ বলে পাঁচ চারের সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করেন জুনায়েদ। তৃতীয় উইকেটে এ দু’জন যোগ করেন ৬৬ রান। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জুনায়েদ (৫১)। দলীয় ১৩৬ রানে ইয়ার্ডির বলে এলবিডবি্লউ হন তিনি।
বাংলাদেশ : ১৭৫/৩ (৩৫ ওভার) (জুনায়েদ ৫১, তামিম ২৮, ইমরুল ১৪, রকিবুল ৫৫*, সাকিব ১৪; ইয়ার্ডি ৯/১, ব্রড ২৮/১, অ্যান্ডারসন ৪৩/১।