দল ফাইনালে ওঠার পর উৎসবে মেতেছে স্পেনের মানুষ এএফপি

বিজয়ের আনন্দে নাকি অনেক দিন না পাওয়ার কষ্টে, যা-ই হোক না কেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে লাল হয়ে উঠেছে স্প্যানিশরা। মাদ্রিদ থেকে উত্তরের শহর পাম্পলোনা_ সব জায়গাতেই এখন লাল আর লাল। জার্মানিকে হারানোর পর থেকেই উৎসবের দেশ স্পেন। বুধবার রাতে বার্নাব্যু স্টেডিয়ামের পাশে জায়ান্ট স্ক্রিনে ৩৫ হাজার দর্শক একসঙ্গে ভিয়াদের খেলা উপভোগ করে। ভুভুজেলা বাজিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে, পানশালায় গান চালিয়ে উৎসব
চলতে থাকে মাদ্রিদে। বার্সেলোনাও ছিল রাতজাগা। সিটি স্কয়ারে জড়ো হয় হাজার হাজার স্প্যানিশ। বার্সেলোনার মজেরোকান সমুদ্রসৈকতেও ছিল ফুটবল সমর্থকদের ভিড়। খেলা শেষে পুরো স্পেন একসঙ্গে ভিয়াদের রঙে লাল হয়ে ওঠে।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে। স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে এমন সাফল্য কখনও আসেনি। তাই স্পেন এখন আনন্দের বন্যায় ভাসছে। বুধবার রাতে সাবেক চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশরা। ৭৩ মিনিটে পুয়োলের গোলের সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে চাপা থাকা আনন্দের বাঁধটা ভেঙে যায়। স্পেনবাসী নেচে ওঠে আনন্দে। স্বাভাবিকভাবে এ আনন্দ সীমাহীন। স্পেনবাসী এ আনন্দে এতটাই মাতোয়ারা যে, স্পেনের প্রধানমন্ত্রীও তার আবেগ চেপে রাখতে পারেননি। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে খেলা দেখতে দেখতে আনন্দে নেচে ওঠেন তিনি। সে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। ফাইনালে ওঠার আনন্দে রাস্তায় রাস্তায় নেচেছে স্প্যানিশরা। খেলার শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তাদের বেশিরভাগের গায়ে স্পেনের জার্সি। রাস্তায় তারা চিৎকার করে আনন্দ করেছে, একে অন্যকে আলিঙ্গন করেছে, উড়িয়েছে জাতীয় দলের পতাকা। বিয়ার পান করেছে, অন্যকে পান করিয়েছে। আবার একে অন্যকে বিয়ার, পানি বা হাতের কাছে পাওয়া পানীয় ছুড়ে ভিজিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কণ্ঠে ছিল ‘ওলে, ওলে’ গান। গলা ছেড়ে গান গেয়েছে তারা। আনন্দকে পূর্ণমাত্রা দিতে কেউ কেউ রাস্তায় ফোয়ারাতে নেমে পড়ে। সেখানে লাফিয়েছে, অন্যকে পানিতে ভিজিয়েছে। আবার কেউ কেউ জয় নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ব্যালকনিতে জাতীয় পতাকা টানিয়েছে। আতশবাজি না হলে আনন্দের মাত্রাটা পূর্ণ হয় না। তাই এ আনন্দ উদযাপনে স্থান করে নিয়েছিল আতশবাজি। যেখানে-সেখানে ফুটেছে আতশবাজি। আর তাই স্পেনের রাতের আকাশ লাল বর্ণ ধারণ করেছিল।
এই আনন্দ স্পেনবাসীকে দুই বছর পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সে সময় অর্থাৎ ২০০৮ সালে ইউরো কাপ জয়ের পর এমন আনন্দে মেতেছিল তারা।