কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত মতি মিয়ার ছোট ভাই শিমুলআটি গ্রামের বাসিন্দা সাগর আহমেদ ১০০ জনের বিরুদ্ধে তাড়াইল থানায় এই মামলা করেন। এ ঘটনায় সদর ইউনিয়নের পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রাম থেকে শামুকজানি গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলীকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

একটি খেলার মাঠে গরু চরানোকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দুপুরে শামুকজানির বাসিন্দাদের সঙ্গে শিমুলআটির বাসিন্দাদের সংঘর্ষে মতি মিয়া নিহত হন।এদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে শামুকজানি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। শিমুলআটি গ্রামের মতি মিয়া খুন হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শামুকজানি গ্রামের পুরুষেরা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে আশপাশের গ্রামে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের জের হিসেবে গতকাল সকালে শামুকজানি মৌজাধীন সওজ বিভাগের রাস্তার দুই পাশে গড়ে ওঠা বাজারের ছয়টি দোকানের মালামাল লুট হয়। দোকানগুলোর মালিক শামুকজানি গ্রামের বাসিন্দারা।

গতকাল সকাল নয়টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ছয় দোকানের সব মালামাল লুট হয়ে গেছে। লুট হওয়া দোকানমালিকদের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, ছয়টি দোকান থেকে কমপক্ষে ১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে শিমুলআটি গ্রামের মানুষ। শামুকজানি গ্রামের গিয়ে দেখা গেছে, পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য। গ্রামের নারীরা জানান, গন্ডগোলের পর গ্রামের সব পুরুষ পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন।তাড়াইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মজিবুর রহমান বলেন, সোমবার রাত নয়টা থেকে সারা রাত থানার একদল পুলিশ এলাকায় টহল দেয়। সকালে তারা থানায় ফিরে যায়। একই ভ্যানে বদলি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দোকানে লুটের ঘটনা ঘটে।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মালেক বলেন, নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। একজন আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই এলাকায় আবার যাতে শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয়, সে জন্য পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। লুটপাটের ঘটনায় গতকাল কেউ মামলা করতে আসেনি।

-Prothom Alo