বিশাল ময়মনসিংহ জেলার শাসনকার্যের সুবিধার্থে ১৮৪৫ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি মহকুমা স্থাপনের লক্ষ্যে শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, হাজিপুর পিংনা এই ৪ টি থানা নিয়ে জামালপুর মহকুমা এবং নিকলী, বাজিতপুর, ফতেপুর (বর্তমান কেন্দুয়া) ও মাদারগঞ্জ এই ৪ টি থানা নিয়ে হোসেনপুর বা নিকলী মহকুমা স্থাপনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে কেবল জামালপুর মহকুমা সৃষ্টি হয় ৪টি থানা নিয়ে। বাকী ১০ টি থানা নিয়ে সৃষ্টি হয় সদর মহকুমা। এই ১০ টি থানা হল নাসিরাবাদ, গাবতলী, মধুপুর, নেত্রকোনা, ঘোষগাঁও, ফতেপুর, গফরগাঁও, মাদারগঞ্জ, নিকলী ও বাজিতপুর। আটিয়া থানা (বর্তমান টাঙ্গাইল) তখন ঢাকা জেলার অধীনে ছিল। ১৮৬৬ খ্রীষ্টব্দে ঢাকা জেলা হতে আটিয়া থানা ও বগুড়া জেলা হতে দেওয়ানগঞ্জ থানা ময়মনসিংহের অন্তর্ভক্ত হয়।

উক্ত আলোচনায় দেখা যায় যে, ১৮৪৫ খ্রীষ্টব্দে পর্যন্ত বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার আওতাধীন এলাকায় থানার সংখ্যা ছিল মাত্র ২ টি অর্থাৎ নিকলী ও বাজিতপুর। এটা তাই স্পষ্ট যে, কিশোরগঞ্জ থানার সৃষ্টি তখনো হয়নি। এর পনের বছর পর অর্থাৎ ১৮৬০ খ্রীষ্টব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার সৃষ্টি হয়।এই পনের বছরের মধ্যেই কোনো একসময় কিশোরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনেক খোজঁ করেও কিশোরগঞ্জ থানার প্রতিষ্ঠার তারিখটি জানা সম্ভব হয়নি। শুধু জানা যায় ১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার প্রতিষ্ঠাকালে থানার সংখ্যা ছিল, কিশোরগঞ্জ, নিকলী ও বাজিতপুর।