প্রতিবারের মত এবারও লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে।সকাল ১০ টায় জামাত শুরু হয়, এবারের জামাতে চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান। ১৮২৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতের হিসাব অনুযায়ী শোলাকিয়া ময়দানে এবার ছিল ১৮৩ তম ঈদ জামাত।
দেশের সর্ববৃহৎ এ জামাতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহের উদ্দেশ্যে। এ সময় কয়েক ঘণ্টার জন্য আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জামাতে অংশগ্রহণের জন্য একদিন আগেই কিশোরগঞ্জ এসে শোলাকিয়া ময়দান, পার্শ্ববর্তী মসজিদ ও গেষ্ট হাউজে রাত্রিযাপন করেন। বিদেশ থেকে আগত কয়েকজন মুসল্লিও জামাতে অংশ নেন।
জামাত শুরুর ১ ঘণ্টা আগে প্রায় ৭ একর আয়তনের বিশাল ঈদগাহ ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। জায়গা না পেয়ে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি ময়দানের বাইরে বিরাট এলাকা জুড়ে বিভিন্ন সড়ক, বাড়ি-ঘড়ের আঙ্গিনায় কাতার বেধে নামাজ আদায় করেন। এরপরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় অসংখ্য মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেননি। মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি ও ১ মিনিট আগে ১টি শটগানের গুলি ছোড়া হয়।
জামাত পরিচালনা করেন ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা। মাঠের চারদিকে র্যাবসহ তিন শতাধিক পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মাঠের ২৮টি প্রবেশ মুখে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর। এ ছাড়া শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক স্কাউট সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।