মুসলমানদের দুইটি বড় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা।প্রতি বছরেই দুইটি ঈদ আসে,এবং চলেও যায় ।যেমন :ঈদ-উল-আযহা কাল।আমরা প্রায় সবাই এই ঈদ কম,বেশী উৎযাপন করব।কিন্তু এই ঈদকে নিয়ে কিচ্ছু ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে ।এই সর্ম্পকি কিছু কথা: মুসলিম উম্মাহ হযরত ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আ.)-এর মহান ত্যাগ ও কুরবানীর নিদর্শন হিসেবে প্রতিবছর যিলহাজ্জ মাসের ১০ তারিখে হালাল পশু যবেহ ও দু‘রাকাত ওয়াজিব সালাত একত্রে আদায়ের মাধ্যমে যে আনন্দ উৎসব পালন করে থাকে, তাকেই ঈদ-উল-আযহা হিসেবে আমরা জানি। তাছাড়া হাদীসে রাসূল (সা.) -এর বক্তব্যের আলোকে প্রত্যেক জুম‘আর দিনকেও ঈদ বলা হয়। রাসূলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আাল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে বাত্সরিক ঈদ হিসেবে দু’টি দিন দিয়েছেন; ঈদ-উল-ফিতরের দিন এবং ঈদ-উল-আযহার দিন। এ দিনে নির্মল আনন্দলাভের জন্য সুস্থ বিনোদনের অনুমতি রয়েছে। বস্তুত মুসলিম জাতির পিতা সাইয়্যেদুনা ইবরাহীম (আ.) আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশে একমাত্র পুত্রকে কুরবানী করার মতো যে মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, সে সুন্নাত যথাযথ মর্যদায় পালনার্থেই এই কুরবানীর ঈদ। কুরবানীকে আরবী ভাষায় ‘ঊযহিয়্যা’ বলা হয়। এর অর্থ ঐ পশু যা কুরবানীর দিন যবেহ করা হয়। শরী‘আতের পরিভাষায়, আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিলাভের নিমিত্তে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট পশু যবেহ করাকে কুরবানী বলা হয়। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কুরবানী কবিতায় এ ঈদ সম্পর্কে যথার্থই বলেছেন, “ওরে হত্যা নয় আজ ‘সত্য-গ্রহ’ শক্তির উদবোধন …।