টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বিয়ানীবাজার ও বালাগঞ্জ উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
অপর পাঁচ উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
জকিগঞ্জ-শেওলা-সিলেট সড়কের সওদাখাল সেতু এলাকায় বাইপাস সড়কটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সিলেটের সঙ্গে জকিগঞ্জের ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বন্যা কবলিত সাত উপজেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন জানান, দুপুরে সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, কানাইঘাট পয়েন্টে ১ দশমিক ১৮ মিটার , কুশিয়ারার পানি জকিগঞ্জের অমলসিদ পয়েন্ট ৮৫ সেন্টিমিটার ও বিয়ানীবাজারে শেওলা পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সোমবার সিলেটে ১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার, কানাইঘাটে ৪৫ মিলিমিটার ও বিয়ানীবাজারে ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
জেলা প্রশাসক সাজ্জাদুল হাসান দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বালাগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে। বাকি উপজেলাগুলোতে পরিস্থিতি অপিরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি জানান, বিয়ানীবাজারে ১৭-১৮টি ও গোলাপগঞ্জে ৫-৬টি ও বালাগঞ্জে ৫-৬টি অশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকাসমূহে ৬১ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারে কাছে আরো পাঁচশ’ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
You must log in to post a comment.