নতুন কমিটি গঠন নিয়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে যুবদলের দুই গ্রুপ। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুর রহমানের সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন। তাঁরা জানান, এক পক্ষের দাবি সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হোক। আরেক পক্ষের ইচ্ছা মনোনীত কমিটি গঠন। সোমবার রাতে শফিকুর রহমান সমর্থিত যুবদলের নেতা-কর্মীরা সম্মেলনের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। অগণতান্ত্রিক উপায়ে গঠন করা যুবদলের কোনো কমিটি তাঁরা মেনে নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপিও।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, তাঁদের কাছে কোনো ‘পকেট কমিটি’ গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এখনো কোনো কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তাঁরা একটি কমিটির রূপরেখা পেয়েছেন মাত্র। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। সম্মেলনের ব্যাপারে তিনি জানান, কবে সম্মেলন হবে এই মুহূর্তে তিনি বলতে পারছেন না।

বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক মাস আগে মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে তাঁরা উপজেলার ৯৯টি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করেন। সোমবার উপজেলা কমিটি হয়ে গেছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা এ কমিটি ঘোষণা না দিতে জেলা আহ্বায়কের কাছে দাবি জানান। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, তাঁকে সভাপতি ও সাইফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সময় কম থাকায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেই একটি কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটিই অনুমোদন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গেই যুবদলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আছেন। অল্পসংখ্যক নেতা-কর্মী এ কমিটির বিরোধিতা করছেন।করিমগঞ্জ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান টিপু বলেন, ‘আমরা সম্মেলন চাই। সম্মেলনে গণতান্ত্রিক উপায়ে বের হয়ে আসা নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। টেবিলে বসে তৈরি করা কমিটিতে আস্থা নেই আমাদের। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শফিকুর রহমান জানান, সম্মেলন ছাড়া কমিটি গঠন করা হলে তাঁরা এ কমিটি মেনেনেবেন না।

করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুর রহমান বলেন, যুবদলের মনোনীত কোনো কমিটি নয়, নির্বাচিত কমিটিই স্থানীয় বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। অন্যভাবে কমিটি গঠন করা হলে তা হবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গঠন করা অবৈধ কমিটি।