একাত্তরের জুলাইয়ে হানাদার বাহিনী ও রাজাকারেরা বাবাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালায়। পরে নীলগঞ্জ সেতুতে অন্য আটজনের সঙ্গে গুলি করে নদীতে ফেলে দেয়। তাঁর লাশ খুঁজে পাইনি।’ নীলগঞ্জ সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গতকাল শনিবার হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের বেত্রাদির গ্রামের মুকুন্দ চন্দ্র বর্মণের ছেলে নিখিল চন্দ্র বর্মণ। এ সময় উপস্থিত জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ শতাধিক মানুষ চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি।

গতকাল কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশায় কর্মরত একটি পরিদর্শক দল কিশোরগঞ্জের ১৪টি বধ্যভূমি পরিদর্শনে গিয়ে একাত্তরের স্বজনহারা মানুষের কথা শোনেন। গতকাল দিনব্যাপী শোলমারা, বড় ব্রিজ, নীলগঞ্জ ব্রিজ, বড়ইতলা, সুগার মিল, সিদ্ধেশ্বরী বাড়ি, গচিহাটা রেলসেতুসহ ১৪টি বধ্যভূমি ঘুরে শতাধিক শহীদের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, স্বাধীনতার চার দশকে বধ্যভূমিগুলোর প্রকৃত ইতিহাস, শহীদদের নামের তালিকা, প্রকৃত ঘটনা ও জড়িত রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরি করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ১৪টি বধ্যভূমি আজ প্রথমবারের মতো পরিদর্শন করা হলো। এভাবে জেলার মোট ৩৬টি বধ্যভূমি পরবর্তী সময়ে পরিদর্শন করা হবে।

-Prothom Alo