বুড়িগঙ্গার তলদেশে উদ্ধার অভিযান দিয়ে শুরু হয়েছিল চান মিয়ার ডুবুরিজীবন। তারপর নারায়ণগঞ্জের পাগলা অথবা কিশোরগঞ্জের নিকলীর মর্মান্তিক লঞ্চডুবি কিংবা স্পেকট্রাম পোশাক কারখানায় আগুন। বড় ধরনের বিপদ-বিপর্যয় যেখানে, সেখানেই ডাক পড়েছে চান মিয়ার। চান মিয়ার সাম্প্রতিক সাফল্য—তিনিই প্রথম খুঁজে পেয়েছিলেন ঢাকার আমিনবাজার এলাকায় যাত্রীসহ সেতু থেকে ছিটকে পড়ে ডুবে যাওয়া বাস। উদ্ধার কাজে সাহসিকতার জন্য তিনি পেতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতির সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড। ডুবুরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৬ বছর বয়সী এই ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার সাহসী জীবনের গল্প নিয়ে এবারের মূল রচনা।

ডুব দেওয়ার পর নিকষ অন্ধকার যেন গ্রাস করে চারদিক থেকে। অন্ধকারে এমনকি নিজের হাতজোড়াও পরিষ্কার ঠাহর করা যায় না। বুড়িগঙ্গার কালচে নোংরা পানি কামড় বসাতে শুরু করেছে শরীরে। হাতে, পিঠে সব জায়গায় অসহনীয় চুলকানি। সেসবে তোয়াক্কা করার সময় নেই চান মিয়ার। প্রায় অন্ধের মতো তিনি হাতড়ে চলেন দূষিত বুড়িগঙ্গার তলদেশ। এক, দুই করে পেরিয়ে যেতে থাকে সময়। হদিস মেলে না মানুষটার। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে ওঠেন চান মিয়া। পানির চাপ বাড়ছে। যতই সময় গড়াচ্ছে, কঠিন হয়ে উঠছে কাজটা। প্রায় ৩০ মিনিট পর আচমকা হাতে শিরশিরে একটা অনুভূতি। একটা নরম কিছুর স্পর্শ লেগেছে হাতে। মৃত মানুষটার ক্ষতস্থান! বার্জের ব্লেডের আঘাতে প্রায় ফালি হয়ে গেছে হতভাগ্য মাঝির পিঠ। উপুড় হয়ে নদীর তলদেশে পড়ে আছে মানুষটা—প্রাণহীন!

ঝনঝন করে উঠল চান মিয়ার সমস্ত শরীর। আতঙ্কে-উত্তেজনায় খাঁচার সঙ্গে যেন বাড়ি খাচ্ছে হূৎপিণ্ড। ঠিক এই সময়টাতে দড়িতে টান দিয়ে ওপরে সংকেত পাঠানো নিয়ম। দড়িতে টান—মানে পাওয়া গেছে কাঙ্ক্ষিত বস্তু। উত্তেজনার চোটে চান মিয়া এত জোরে দড়িতে টান দেন যে ওপরে নৌকায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ তাঁর সহকর্মী তাল সামলাতে না পেরে পানিতে পড়ে যান। তারপর আবার সাঁতরে ওঠেন নৌকায়। খানিক বাদে নিহত মাঝির লাশ বয়ে নিয়ে পানির ওপরে উঠে আসেন চান মিয়া। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা চান মিয়ার ডুবুরিজীবনের প্রথম অভিযানের কথা শুনছিলাম আমরা। বার্জের ধাক্কায় নৌকাডুবি ও মাঝির মৃত্যুর এই অঘটন ২০০৪ সালের শুরুর দিককার। চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ ডাইভিং স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করে তখন সবে ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে যোগ দিয়েছেন চান মিয়া।

হ্যাঁ, এভাবেই শুরু হয়েছিল চান মিয়া নামের দুঃসাহসী এক তরুণের ডুবুরিজীবন। তারপর চাঁদপুর,আরিচা, নারায়ণগঞ্জের পাগলা অথবা কিশোরগঞ্জের নিকলীর মর্মান্তিক লঞ্চডুবি, কিংবা ঢাকার আমিনবাজার এলাকায় বাস ডুবে যাওয়ার মতো ভয়াবহ অঘটন। যেখানেই বড় ধরনের দুর্যোগ-বিপর্যয়, প্রায় সবখানেই দেখা মিলেছে চান মিয়ার।ডুবুরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩৬ বছর বয়সী এই ফায়ার সার্ভিস কর্মীর জীবনের আরও বড়সড় দুঃসাহসী অভিযানের কথা শুনব আমরা। এর আগে একবার চট করে দেখে নিতে পারি তাঁর পেছনে ফেলে আসা জীবন। যে জীবনের ব্যাপক অংশজুড়ে আছে নদী আর জল।

এক অর্থে জল-দুনিয়ার মানুষ চান মিয়ারা। নদী আর জলের সঙ্গে পরিচয় তাই সেই ছোট্টবেলাতেই। গাইবান্ধার মোল্লার চর এলাকায় চান মিয়ার জন্ম। গ্রামের নাম চিথুলিয়া দিগর। তিস্তা আর ব্রহ্মপুত্র নদ যেখানে এসে ঠিক এক জায়গায় মিলেছে, সেখানটাতেই দিগর গাঁও। বাড়ির ঠিক পাশ ঘেঁষে বইছে প্রমত্তা নদী। সেই বাড়ির ছেলে পানির পোকা হবে না তো কি! ছেলেবেলার প্রধান আনন্দ ছিল এই নদীতে সাঁতার আর লাফঝাঁপ। চান মিয়া জানতেন না পানি আর জলের সঙ্গে এই সখ্যই একদিন মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দেবে তাঁর পেশাগত জীবনে।

পাঁচ ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে চান মিয়ার অবস্থান একদম মাঝামাঝি। কলেজে পড়াশোনার জন্য চলে আসেন গাজীপুরের টঙ্গীতে। ইউনিফর্ম মানে উর্দি পরা কাজের দিকে চান মিয়ার ঝোঁক ছিল অল্প বয়স থেকেই। টঙ্গী সরকারি কলেজের পড়াশোনা শেষ করার পর চান মিয়ার প্রথম ভাবনাজুড়ে তাই ছিল শুধু সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশের চাকরি। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন সেই ‘লাইনে’। ২০০০ সালে সাফল্য মিলল অন্য জায়গায়—ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে। মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্স থেকে অগ্নিনির্বাপণ-বিষয়ক প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষ করার পর চান মিয়ার পোস্টিং হয়ে গেল পাবনায়। বছর খানেক পর কিশোরগঞ্জে বদলি। এই সময়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার ফরিদ (তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল)।

 ডুবুরি প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য চান মিয়াকে নির্বাচন করলেন তিনি। কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের ঈশা খাঁ ডাইভিং স্কুল। মোট ২৫ জনের দল থেকে শুরুতেই বাদ পড়ে গেল ২০ জন। রইল বাকি পাঁচ। কাপ্তাই লেকে টানা ১৪ কিলোমিটার সাঁতার, ১০ মিটার উঁচু থেকে লাফ—সব কঠিন পরীক্ষাতেই দারুণভাবে উতরে গেলেন চান মিয়া। শিখলেন পানির চাপ কোথায় কী রকম হয়, জলের তলে বিপদ মোকাবিলার কৌশল, জরুরি মুহূর্তে সঙ্গী ডুবুরির সঙ্গে অক্সিজেন ভাগাভাগির উপায় এবং আরও অনেক কিছু।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, শেখ মুজিব রোড। বড় রাস্তার ওপর থেকেই চোখে পড়ে ফায়ার সার্ভিসের লাল ভবন। নিচতলার একটা দরজার ওপর নেমপ্লেটে লেখা—মো. চান মিয়া, ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর। ডুবুরিজীবনের বাইরে চান মিয়ার আসল পেশাগত পদবিটা প্রথমবারের মতো জানতে পারি আমরা। তারপর ভেতরে গিয়ে বসি। মাথার ওপরে পূর্ণ গতিতে ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। দুপুর একটা মতো বাজে। চান মিয়া পাশের ভবনে গেছেন দাপ্তরিক কাজে। আমাদের অপেক্ষমাণ দেখে চান মিয়ার সহকর্মী মুচকি হাসেন, ‘ও চান মিয়ার কাছে আসছেন? উনি তো এখন ন্যাশনাল ফিগার। বুঝছেন না…’

পাশের সরকারি কোয়ার্টারেই পরিবার নিয়ে থাকেন চান মিয়া। তাঁর ঘরের আরাম কেদারায় জুতমতো বসে শুরুতেই ডুবুরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা থেকে রাতারাতি ‘ন্যাশনাল ফিগার’ বনে যাওয়ার গল্পটাই সবিস্তারে জানতে চাই আমরা।১০ অক্টোবর সকালেই চান মিয়া পেয়েছিলেন আমিনবাজারে বাসডুবির খবর। ভেবেছিলেন এই বাস উদ্ধার করাটা হয়তো কঠিন কিছু হবে না। কিন্তু রাত ১০টার খবর দেখতে বসে একটা বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন মনে মনে। সেতু থেকে পানিতে পড়ে ডুবে যাওয়া বাসটার খোঁজ মেলেনি তখনো। টেলিভিশনে খবর তখনো শেষ হয়নি, এর মধ্যেই বেজে উঠল চান মিয়ার ফোন। ঢাকা থেকে জরুরি তলব। ফোনের ওপাশে মেজর এম এম মতিউর রহমান (ডিরেক্টর ট্রেনিং, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট)।

 মুহূর্তেই টানটান হয়ে উঠল সমস্ত পেশি। স্ত্রী রেহানা পারভীন হয়তো কিছু বলতে চাইছিলেন। শিশুপুত্র রোহান আরও কিছুক্ষণ বাবার সঙ্গ চাইছিল। সেসবে ভ্রূক্ষেপ না করে চান মিয়া ছুটলেন ঢাকার পথে।বেলা ১১টার দিকে আমিনবাজারে পৌঁছে দেখলেন চারদিকে হাজার হাজার উৎসুক মানুষ। চান মিয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলেন। এর মধ্যে সাউন্ড নেভিগেশন (সোনার) যন্ত্র আনা হয়েছে। নিখোঁজ বাসের সন্ধানে পানির তলদেশে দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার জায়গা দেখা হয়েছে এই যন্ত্রের সহায়তায়। সেতু থেকে ২০০ ফুটমতো দূরে একটা জায়গায় গ্যাসের লাইন ‘লিক’ করেছে। শুধু ওই জায়গাটায় সোনার দিয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সেখানে ব্যাপকভাবে পানির ঘূর্ণন হচ্ছে। আরেক ডুবুরি আবুল খায়ের ‘গ্যাস লিক’ পর্যন্ত ঘুরে এসেছেন। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩ জন ডুবুরি ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপ করে মনে হলো, বাসটা খুব দূরে কোথাও যায়নি। পানির তলদেশ খুব উঁচু-নিচু। বাসটা যেখানে পানিতে পড়েছে, ঠিক সেখান থেকেই খোঁজ শুরু করলেন চান মিয়া।

‘ঠিক করলাম, যেখানে বাসটা পানিতে পড়েছে, সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে এগোব। স্রোতের প্রচণ্ড টান। নিচের উঁচু-নিচু ঢিবি, পাথর, গাছগাছালি—এসব ধরে এগোচ্ছিলাম। পুরোনো ব্রিজের ভাঙা অংশ পানির নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় কাজটা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। স্রোতের তোড়ে কোনোভাবে গ্যাসের পাইপলাইনের নিচে ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু।

গ্যাসের পাইপলাইন পেরিয়ে ১০-১৫ মিনিট এগোনোর পর একটা ভাঙা কাচ হাতে ঠেকল। বোঝার চেষ্টা করলাম কাচটা কি নতুন, না পুরোনো। হাত বুলিয়ে দেখলাম। কাচের ওপর শ্যাওলা নেই। তার মানে কাচটা নতুন! কাচটার আশপাশের ১০ ফুটমতো এলাকাজুড়ে খোঁজ শুরু করলাম। ঘোলা পানির নিচে পরিষ্কার কিছুই দেখা যায় না। খোঁজা মানে তাই শুধু দুই হাত বাড়িয়ে নদীর তলদেশ হাতড়ে যাওয়া। ২০-২২ মিনিট পর পাওয়া গেল আরও বড়সড় একটা কাচ। মনে হলো, বাসের উইন্ডশিল্ড! আরও মুহূর্ত খানেক সময় পর বুঝলাম, বাসের সামনের বাম্পারের সামনে আমি। একপাশে কাত হয়ে শুয়ে আছে বাসটা।’

হ্যাঁ, জলের তলদেশে বহু কাঙ্ক্ষিত সেই বাসটার দেখা পেয়ে উল্লসিত হয়ে উঠতে চাইছিলেন চান মিয়া। কিন্তু তখনই মনে হলো আসলে বিপদ কাটেনি। প্রচণ্ড স্রোতের ধাক্কায় খুলে আসতে চাইছে মুখের ‘টিথগার্ড’। এই টিথগার্ড দিয়েই অক্সিজেন টানতে হয় পিঠের অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে। আর লাইফলাইন যদি কোনোভাবে নিমজ্জিত বাসের কোথাও আটকে যায়, তাহলেও সমূহ বিপদ। ঝড়ের বেগে চিন্তা চলছে মাথায়। কীভাবে তিনি শনাক্ত করে যাবেন বাসটাকে? এখন তড়িঘড়ি ওপরে উঠে যাওয়া মানে আবার দীর্ঘ অনিশ্চয়তা। তাঁর ব্যর্থতা মানে ওপরে অপেক্ষমাণ স্বজনহারা মানুষগুলোর দীর্ঘ কষ্টকর প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হওয়া। শেষ পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকিটা নিয়েই ফেললেন চান মিয়া। পানির নিচে ডুবুরিদের ‘বিপদের বন্ধু’ বলে খ্যাত লাইফলাইন শরীর থেকে খুলে বেঁধে দিলেন নিমজ্জিত বাসের গায়ে।

এদিকে ওপরে টানটান উত্তেজনা। স্বজনের লাশের খোঁজে যন্ত্রণাময় প্রহর গুনছে শত শত মানুষ। সারা দেশের মানুষের চোখ সাভারের আমিনবাজারের দিকে। ৩৩টি মিনিট কাটল। তারপর পানিতে হঠাৎ আলোড়ন। চান মিয়া বেঁচে আছেন। পানি থেকে এক নিমেষে টেনে তোলা হলো তাঁকে। একটু পরেই মাইকে ঘোষণা হলো, খোঁজ মিলেছে নিখোঁজ বাসের। সমবেত মানুষের মুহুর্মূহু করতালিতে কাঁপল চারদিক।
কাচ ধরতে গিয়ে কোন ফাঁকে কেটে গেছে হাত। সেই কাটাটায় হাত বোলাতে বোলাতে চান মিয়া বলছিলেন, ‘পানি থেকে ওঠার পর স্যাররা শুধু একটা কথাই বলেছিলেন, “চান মিয়া, তুমি বেশি রিস্ক নিয়ে ফেলেছ।” ওপরে এতগুলো মানুষ অপেক্ষায় আছে, আর আমি রিস্ক না নিয়ে ভীতুর মতো ফেরত আসি কীভাবে, বলেন?’

কখনো পোশাক কারখানায় আগুন, কখনো লঞ্চডুবি—চান মিয়ার জীবনটাই তো আসলে মৃত্যুর সঙ্গে প্রতিনিয়ত খেলা। আর সেই খেলায় চান মিয়া মৃত্যুকে তোয়াক্কা করেননি কোনোকালেই! মৃত্যুকে সবচেয়ে কাছাকাছি দেখেছিলেন বছর পাঁচেক আগে সেবার। আরিচায় ডুবে যাওয়া একটা লঞ্চ উদ্ধার অভিযানে নেমেছিলেন তিনি। রাতের অন্ধকার আর ঝোড়ো হাওয়া সব উপেক্ষা করে জলের তলে চান মিয়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর উদ্ধার অভিযান। এর মধ্যেই হঠাৎ খেয়াল হলো পিঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাশে ভাসছে অক্সিজেন সিলিন্ডার। রশির ঘষায় কোন ফাঁকে ঘটে গেছে এই অঘটন। এমন বড়সড় বিপদে ভয়ে নিঃশ্বাস নিতে ভুলে যান ডুবুরিরা। তখনই ঘনিয়ে আসে মৃত্যু।

চান মিয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে ধরেই প্রাণ নিয়ে ভেসে উঠে এসেছেন ওপরে। নাহ্, ভয় পাননি চান মিয়া। কারণ, চান মিয়া জানেন, ভয় পাওয়া মানে মৃত্যুর কাছে হেরে যাওয়া। আর এত জলদি হেরে যেতে মোটেও রাজি নন তিনি।

প্রথম আলো