কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল জনতা স্কুলের সামনের ২০০ কেভিএ এবং কলাপাড়া এলাকার ১০০ কেভিএ ট্রান্সফরমার দুটি গত সোমবার দিবাগত রাতে চুরি হয়ে যাওয়ায় দুই এলাকার পাঁচ শতাধিক গ্রাহক তিন দিন ধরে বিদ্যু ৎ না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।স্থানীয় কলাপাড়া এলাকার মো. আতাউর রহমান জানান, তিন দিন ধরে বিদ্যু ৎ না থাকায় ফ্রিজের মাছ-মাংস সব পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।শুধু আতাউর রহমান নন, শহরের দুটি এলাকার পাঁচ শতাধিক বিদ্যু ৎ গ্রাহকের একই অবস্থা। গত সোমবার রাতে দুটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যাওয়ায় সেগুলোর আওতাধীন আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের বিদ্যু ৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ বিদ্যু ৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জে পিডিবি ছয়টি ১১ হাজার ভোল্টের ফিডারের মাধ্যমে বিদ্যু ৎ সরবরাহ করে থাকে। ফিডারগুলোর আওতায় রয়েছে ১৩৪টি ট্রান্সফরমার। এর মধ্যে ১০৭টি ট্রান্সফরমারে রয়েছে অতিরিক্ত চাপ (ওভার লোডেড)। ট্রান্সফরমারগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে যায়। বিদ্যু ৎ বিভাগে অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার মজুদ নেই। এ কারণে বিকল বা চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার স্থানীয়ভাবে মেরামত ও সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে টঙ্গী বিদ্যু ৎ বিভাগের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা থেকে সেগুলো মেরামত করে এনে পুনরায় সংযোগ দিতে হয়। বিকল ট্রান্সফরমারগুলো টঙ্গী থেকে মেরামত করে আনতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। এ সময় বিকল্প কোনো ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা না গেলে নষ্ট হওয়া ট্রান্সফরমারের আওতাধীন এলাকায় বিদ্যু ৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।

কিশোরগঞ্জ পিডিবির সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ১৩৪টির মধ্যে ৮০ শতাংশ ট্রান্সফরমার অতিরিক্ত চাপে আছে। এর পরও যদি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়, তাহলে আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নতুন ট্রান্সফরমার আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো না আসা পর্যন্ত বিদ্যু ৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না।

-prothom alo