চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একদিন আগে নির্বাচন কমিশনের একটি মামলায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার কাছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশের একটি টহলদল গাড়িবহরসহ সাংসদ সালাউদ্দিন কাদেরকে আটক করে।

এরপর রাত পৌনে ১০টায় তাকে গত ১০ জুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন বিধি-২০০৯ ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর (উত্তর) পুলিশের উপ-কমিশনার বনজ কুমার মজুমদার।

বাকলিয়া থানার ওসি মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের জানান, নগরীর বলিরহাট এলাকা থেকে তিনি ও তার কয়েকজন সহযোগী পাজেরো, মাইক্রোবাসসহ চারটি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুটি গাড়ি পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে চলে যায়।

ওসি দাবি করেন, সালাউদ্দিন ও তার সহযোগীদের বহনকারী দুটি গাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে প্রচারপত্র বা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করার মত কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। তবে গাড়িবহর ব্যবহার করা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

তাকে আটকের পর সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় কোতয়ালি জোন পুলিশের সহকারী কমিশনার হেলালুদ্দিন থানা আসেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিষয়টি আমি পুরোপুরি জানার চেষ্টা করছি। এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।”

বলিরহাট এলাকা থেকে সালাউদ্দিন কাদের তার গুডস হিলের বাসায় যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে।

খবর পেয়ে থানায় আসেন বিএনপির সাংসদ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

থানার সামনে গাড়িতে অবস্থান করার সময় সালাউদ্দিন কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে এবং ভোটারদের হয়রানি করতে এ কাজ করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগর সংস্থার নির্বাচন হবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সালাউদ্দিন পুলিশকে কিছু না বলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ গিয়ে তাকে আবার আটক করে।

গ্রেপ্তারের পর গাড়ির ওপর দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে সালাউদ্দিন কাদের বলেন, “সরকার আমার প্রতি যে অন্যায় আচরণ করেছে কাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার জবাব দিতে হবে।”