আর্জেন্টিনা ও দক্ষিণ কোরিয়া, যে দল জিতবে সে দলেরই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত। বৃহস্পতিবার ‘বি’ গ্র”পের খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে দল দু’টি।

প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হারিয়েছিল নাইজেরিয়াকে। আর দক্ষিণ কোরিয়া গ্রিসের বিপক্ষে জিতেছিল ২-০ গোলে।

খেলার আগে আর্জেন্টিনার কোচ ডিয়েগো ম্যারাডোনা ফিরে যাচ্ছেন ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলায় তাকে ঠেকানোর দায়িত্বে ছিলেন কোরিয়ার বর্তমান কোচ হু জুং মু। এবং এজন্য শক্তি প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করেননি কোরিয়ার খেলোয়াড়রা। সে কথা মনে রেখেছেন ম্যারাডোনা। বলছেন, “হুকে আমার খুব ভালো মনে আছে। ওই ম্যাচে ওরা আসলে ঠিক ফুটবল খেলেনি, খেলেছিল তায়কোয়ান্দো।”

খেলায় চোট পাওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। তবে আর্জেন্টিনাকে আটকাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা জিতেছিল ৩-১ গোলে।

তবে এখন দক্ষিণ কোরিয়া অনেক বদলে গেছে। তাই ম্যারাডোনা সতর্ক। প্রথম ম্যাচের দলটিকেই নামাতে চাইছেন তিনি। সংশয় কেবল অভিজ্ঞ সেবাস্তিয়ান ভেরনকে নিয়ে। পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি। তবে ভেরনের জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ম্যারাডোনা।

এদিকে প্রথম ম্যাচে গ্রিসকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে কোরীয়রা। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গেছে অনেক। চোটেও পড়েননি দলের কেউ। বরং কোচ হুর জন্য আছে সুখবর। চোটের জন্য প্রথম ম্যাচে না খেলা আক্রমণভাগের খেলোয়াড় লি ডং -গুককেও পাচ্ছেন তিনি এ খেলায়।

তবে প্রতিপক্ষ যেহেতু আর্জেন্ট্নিা তাই কিছুটা রক্ষণাত্বক কৌশলই নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ। তিনি খেলতে চান ৪-৫-১ পদ্ধতিতে।

আক্রমণভাগে একমাত্র খেলোয়াড় থাকবেন লি। তার ঠিক পেছনেই থাকবেন পার্ক চু-ইয়ং এবং অধিনায়ক পার্ক জি সুং। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে কৌশল বদলাতেও পারেন হু।

সাধারণ হিসেবে ম্যাচে হয়তো আর্জেন্টিনাই এগিয়ে আছে, কিন্তু ফুটবল বোদ্ধারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার গতি, দম এবং আকস্মিক পাল্টা আক্রমণের কৌশল মেসিদের বিপদে ফেলে দিতে পারে।