গত ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে প্রায় দুই হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এ তথ্য জানান। জাতীয় মৎস সপ্তাহ উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। বুধবার পালিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। চিংড়ি খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে লতিফ বিশ্বাস বলেন, “চিংড়ি খাতের আরো উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে চিংড়ি নীতিমার খসড়া তৈরি চূড়ান্ত করেছে। শিগগিরই এটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।”

তিনি আরো বলেন, চিংড়ির মানোন্নয়নে বাগেরহাটে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে চিংড়ির মানোন্নয়নে গবেষণা করা হবে। এর ফলে মানসম্মত চিংড়ি উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারেও বাংলাদেশী চিংড়ির চাহিদা বাড়বে।”  মন্ত্রী জানান, ২০০১-০২ সালে বাংলাদেশে চিংড়ির উৎপাদন ছিল ৯৭ হাজার মেট্রিক টন। এ উৎপাদন বর্তমানে এক লাখ ৪৫ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে লতিফ বিশ্বাস আরো বলেন, দেশের প্রায় ২৮ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমিকে মাছ চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে দেশে মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে। তিনি জানান, আগামী ২০১১ সালে দেশের মৎস্য সম্পদের প্রবৃদ্ধি ৬৫ হাজার মেট্রিক টন বাড়িয়ে ৩২ লাখ ৬০ হাজার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যা ২০১৩ সালে বেড়ে ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার টনে উন্নীত হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব শরফুল আলম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মজিবর রহমান, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান খুরশীদা খাতুন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম