নমার্কের কাছে ২-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় পর্বে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে আফ্রিকার অদম্য সিংহ ক্যামেরুনের।
৬১ মিনিটে জয়সূচক গোল করে ডেনিস রোমেদালই তাদের স্বপ্ন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন।
এর আগে উত্তেজনাপূর্ণ প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থাকা ডেনমার্ককে সমতায় ফেরান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় বেন্টনার। ক্যামেরুনের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন স্যামুয়েল ইতো। খেলার ১০ মিনিটের মাথায়।
ই’ গ্র”পে নেদারল্যান্ডস ইতোমধ্যে দু’ ম্যাচ জয়ের ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করেছে। গ্র”পের অন্য দু’টি দল জাপান ও ডেনমার্ক এক জয় ও এক পরাজয়ের ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ২৪ জুন। অতএব পয়েন্টশূন্য ক্যামেরুন শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারালেও দ্বিতীয় পর্বে ওঠার কোনো সম্ভাবনাই নেই তাদের।
অথচ লফটাস বার্সফেল্ড স্টেডিয়ামে খেলার শুরু থেকেই ডেনমার্ককে চেপে ধরে ক্যামেরুন। খেলার দশ মিনিটের মাথায় গোল করে ক্যামেরুনকে দারুণ সূচনাও উপহার দেন স্যামুয়েল ইতো।
বাম প্রান্ত থেকে গড়ানো ক্রস ডেনমার্কের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো ইতোর সামনে পড়ে। বক্সের বাইরে বলটিকে নিয়ন্ত্রণে এনে ডান পায়ের জোরালো শটে ডেনিশ গোলরক্ষক সোরেনসেনকে পরাস্ত করেন ইতো।
খেলার ৩৩ মিনিটে বেন্টনার ডেনমার্কের পক্ষে সমতা ফেরান। ৫০ গজ দূর থেকে সিমন কাজেয়েরের দেয়া লম্বা পাসটি অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে পেয়ে যান রোমেদাল। তার বাড়িয়ে দেয়া ক্রস থেকে বাঁ পায়ের টোকা দিয়ে বল জালে জড়ান বেন্টনার।
এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা তুমুল জমে ওঠে। দু’ দলই গোল করার দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু সঠিক ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলবঞ্চিত হয় তারা। ফলে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থেকেই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দু’দলই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে তাকে। মুহুর্মুহু আক্রমণে দু’ দলই প্রতিপক্ষের রক্ষণব্যুহ কাঁপিয়ে দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় খেলার ৬১ মিনিটে ক্যামেরুনের বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েন ডেনিস রোমেদাল। বক্সের ভিতরে ঢুকে তিনি গতি দিয়ে পরাস্ত করেন ক্যামেরুনের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জিন মাকুনকে। একটু জায়গা পেয়েই ধনুকের মতো বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। ক্যামেরুনের গোলরক্ষক হামিদু ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।
এরপর গোল শোধে মরিয়া ক্যামেরুন মুহুর্মুহু আক্রমণ শানায় ডেনিশ রক্ষণব্যুহে। কিন্তু গোলের দেখা আর পায়নি। বরং লম্বা পাসে খেলা ডেনিশরা মাঝে মাঝেই কাউন্টার অ্যাটাকে ত্রাস ছড়িয়েছে ক্যামেরুনের রক্ষণভাগে। এ সময় সহজ কিছু গোলের সুযোগও তারা নষ্ট করে।
