রগিজস্তানে চলমান জাতিগত সহিংতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮৫ জনে। কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার একথা জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, “ওশ ও জালালবাদে বৃহস্পতিবার থেকে কিরগিজ ও উজবেক জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ১২৪ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৮৫ জনে।”

ওশ শহরের রাস্তায় রাস্তায় লাশের স্তুপ। সেখানে এখনো থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। জালালবাদের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। সেখানে পুরোদমে সহিংসতা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের উপ-প্রধান তেমির সারিয়েভ বিসকেকে বলেছেন, জালালবাদে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

সেখানে উজবেকদের বেশ কিছু বাড়িঘরে নতুন করে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। উজবেকরা প্রাণভয়ে দলে দলে উজবেকিস্তানে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

উজবেক সরকার সোমবার জানিয়েছে, কিরগিজস্তান থেকে পালানো বিপুল সংখ্যক শরণার্থী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।

শরণার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন উজবেকস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, তারা এখনো শরণার্থীর সংখ্যা গণনা ও তাদের নিবন্ধীকরণ করছেন। শরণার্থীর মধ্যে অধিকাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক লোক।
ওদিকে, সহিংসতায় ইন্ধন জোগানোয় সোমবার জালালাবাদের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কিরগিজ সরকার।

সরকার গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে তারা ফের অভিযোগ করে বলেছে, সহিংসতার পেছনে সাবেক প্রেসিডেন্ট কারমানবেক বাকিয়েভের হাত আছে।

এপ্রিলে বাকিয়েভকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসা কিরগিজ অন্তর্বর্তী সরকার এ পর্যন্ত সহিংসতা দমনে ব্যর্থ হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার এর আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সহিংসতায় জড়িতদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে।

উপরন্তু রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করাসহ রাশিয়ার সামরিক সহায়তা নিয়ে সহিংসতা দমনে সর্বশক্তি নিয়োগ করছে তারা।