প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
শিক্ষাবর্ষের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জে মাধ্যমিক, মাদ্রাসা এবং ভোকেশনাল পর্যায়ে এখনও মোট ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮৫টি বইয়ের ঘাটতি রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী), এবতেদায়ী (১ম থেকে ৫ম শ্রেণী), দাখিল (৬ষ্ঠ থেকে ৯ম) এবং ভোকেশনাল (৯ম শ্রেণী) পর্যায়ে বইয়ের মোট চাহিদা ছিল ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮১টি। কিন্তু মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ১৯৬টি বই পাওয়া গেছে। ২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৫টি বই ঘাটতি রয়েছে।
সূত্রটি জানায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৬টি বইয়ের চাহিদা ছিল। পাওয়া গেছে ১১ লাখ ৭১ হাজার ৯৩৭টি। ঘাটতি রয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯৯টি। এবতেদায়ী পর্যায়ে চাহিদা অনুযায়ী ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৫টি। দাখিল পর্যায়ে চাহিদা ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৯টির বিপরীত পাওয়া গেছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১১৪টি। ভোকেশনাল পর্যায়ে চাহিদা ছিল ৩১ হাজার ৮৭১টি পাওয়া গেছে ২৯ হাজার ৬০০টি।
সূত্রটি জানায়, ২০০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর হিসাব অনুযায়ী এসব বই সরবরাহ করা হয়েছে। অথচ চলতি শিক্ষাবর্ষে অন্তত ১০ ভাগ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণেও বইয়ের ঘাটতির হার বেড়েছে। বিনামূল্যে বই সরবরাহ করার কারণে শিক্ষার্থী বেড়েছে বলেও সূত্রটি জানায়। সূত্রটি আরও জানায়, সরকার আগামী শিক্ষাবর্ষের বই সরবরাহের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরে এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক স্তরের বই এবছর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে, এবতেদায়ী ও দাখিল পর্যায়ের বই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং ভোকেশনালের বই ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।