একাত্তরে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর দুই সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে হাইকোর্টের সামনে থেকে পুলিশ কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। এর প্রায় দুঘন্টা পর একই স্থান থেকে কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দুজনকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা দপ্তরে রাখা হয়েছে।

কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তারের পর রমনা জোনের উপ পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগে পল্লবী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে কামারুজ্জামানের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মিরপুরের আলোকদী গ্রামে ওই গণহত্যার ঘটনায় ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে পল্লবী থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে আদালত চত্ত্বরে কামারুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা জামিন নিতে এসেছিলাম আদালত আমাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছে। এরপরেও আদালতের আদেশ অমান্য করা হয়েছে। এ সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার মানবাধিকার বিরোধী সরকার।”

কেরানীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলা ও শাহবাগ থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার পৃথক দুটি মামলায় হাইকোর্ট মঙ্গলবার কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেয়।