বন্যা ও খরার কারণে অনেক দেশে গমের উৎপাদন কমে গেছে। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা গমের জিন-নকশা (জিনমসিকোয়েন্সস) উন্মোচন করতে সক্ষম হওয়ায় সম্ভাব্য খাদ্যঘাটতি মোকাবিলা করা সহজ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশাবাদ গমের জিন নকশা উন্মোচন বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে গমের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের নিল হলের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণার ফলাফল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। নিল হল বলেন, মানুষের জিন নকশা উন্মোচনে সময় লেগেছে ১৫ বছর। কিন্তু ডিএনএ প্রযুক্তির বিপুল উৎকর্ষের কারণে গমের জিন নকশা উন্মোচনে মাত্র এক বছর সময় লেগেছে। গবেষণার ফলাফল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার ফলে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জিনের অণুক্রম বিশ্লেষণ করতে পারবেন ও গবেষণার ফলাফলকে গমের উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

সম্প্রতি গমের অন্যতম বড় উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মারাত্মক খরা ও দাবানলে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়ার এই পদক্ষেপের কারণে বিশ্বজুড়ে গম ঘাটতির আশঙ্কার সৃষ্টি হয়। এতে গমের দাম বেড়ে যায়। পাকিস্তানে বড় ধরনের বন্যা ও চীনে ভূমি ধসও গমের দাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কানাডাসহ কয়েকটি দেশে গত বছরের তুলনায় গমের উৎপাদন কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেইজ অ্যান্ড হুইট ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টারের গম শারীরবৃত্তবিদ ম্যাথু রেনল্ড বলেন, গমের জিন নকশা উন্মোচনের কারণে এখন গমের আরও উৎপাদনশীল জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে।