কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত শুক্রবার র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানকালে রহিমা বেগমের (৪০) গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। র্যাবের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গতকাল রোববার তদন্ত কমিটিগুলো গঠন করা হয়। এদিকে ঘটনার তিন দিন পরও গুলিবিদ্ধ রহিমা বেগমের জ্ঞান ফেরেনি। তবে গতকাল সকালে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

র্যাবের প্রধান কার্যালয় থেকে উইং কমান্ডার জাকির হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের কমিটির প্রধান করা হয়েছে এই ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার আরমান চৌধুরীকে। উভয় কমিটির সদস্যসংখ্যা তিনজন করে। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক গাজী মোহাম্মাদ আহসানুল হক গতকাল রোববার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে রহিমা বেগমের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩-এর মেজর বাহালুল আলম। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আজ (রোববার) সকাল সাড়ে আটটা থেকে রহিমা বেগমের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। সাড়ে ১০টায় শেষ হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভেতরে গুলি ছিল না। দুর্ঘটনার সময় বের হয়ে গেছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি। তবে শ্বাস-প্রশ্বাস ও হূৎস্পন্দন স্বাভাবিক। যেহেত আঘাতটি মস্তিষ্কে, তাই রহিমা এখনও শঙ্কামুক্ত নন।’

গত শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা সাদা পোশাকে ভৈরব পৌর শহরের পুকুরপাড় এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় রহিমা বেগম গুলিবিদ্ধ হন।

-Prothom Alo