পাখিটার বাংলা নাম :’চিত্রা শালিক’ ইংরেজি নাম ‘কমন স্টালিং’,  গোত্রের নাম:’ষ্টুরনিদি’।লম্বায় এরা ১৯-২৩ সেন্টিমিটার। গায়ের বর্ণ ধাতব সবুজ ও বেগুনী। তার ওপর সাদা সাদা ফুটকি। তবে দেখতে কালচে মনে হয়। শীতকালে সমস্ত দেহ চিত্রিত দেখায়। গ্রীষ্মে স্ত্রী পাখির বর্ণ হলটে হয়। অপরদিকে পুরুষ পাখির বর্ণ হলদেটের পাশাপাশি নীলাভ-ধূসর দেখায়। ঠোঁটের গোড়াটা নীলাভ বাদবাকি হলদেটে। পা লালচে-বাদামি।

এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, শস্যদানা। তবে কেঁচো, শুয়োপোকা প্রিয়। এ ছাড়াও ফল-পাকুড় খেতে দেখা যায়।প্রজনন সময় বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল। অঞ্চলভেদে প্রজনন সময়ের হেরফের হয়। বাসা বাঁঁধে গাছের কোটরে। ডিম পাড়ে ৪-৫টি। স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে ডিমে তা দিলেও স্ত্রী পাখি বেশি সময় তা দেয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৩-১৫ দিন।

মূলত ইউরোপের পাখি। আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়। শীতে মাঝে-মধ্যে দেখা যায় দেশের পাহাড়ি এলাকার বনজঙ্গলে কিংবা উপকূলীয় এলাকায়। দেখা যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপেও। এ ছাড়াও সুন্দরবনের দুবলারচরে সাক্ষাত্ মেলে দুই-চারটার। এরা এ দেশে পরিযায়ী হয়ে আসে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১৯৮০ সালে প্রথম পাখি অনুসন্ধানী দলের নজরে পড়ে এ পাখি। তারপর থেকে ধীরে ধীরে পরিচিতি মেলে পাখি দেখিয়েদের কাছে। মূলত এদের বিচরণ ক্ষেত্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকাতেও দেখা যায় এ পাখি। এশিয়ার ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতের কিছু অংশেও পাখি বাসা করে। এরা আমাদের দেশে বেশিরভাগই একাকী চলাফেরা করে। অন্যান্য দেশে বড় বড় দলে বিচরণ করতে দেখা যায়।

-দৈনিক ইত্তেফাক