সিংহের নীচুস্বরে গর্জন বা বনবিড়ালের মিয়াও স্বরে ডাকা নির্ভর করে প্রাণীটির আকারের উপর নয়, বরং যে পরিবেশে প্রাণীটি বাস করে তার ওপরেই। খবর বিবিসি অনলাইনের। সম্প্রতি জার্মানির গবেষকরা বন বিড়ালের ২৭ প্রজাতির ডাক পরীক্ষা করেছেন। প্রাণীর ডাক তার আবাস স্থলের ওপর কতোখানি প্রভাব ফেলে সেটি দেখতেই এই গবেষণা করেছেন তারা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, মুক্ত এলাকায় যেসব বিড়াল প্রজাতীর প্রাণী বাস করে তারা ঘন এবং গম্ভীর ও উচ্চ স্বরে ডাকলেও তাদের ডাকের ফ্রিকোয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক থাকে খুবই কম। আর ঘন আবাসস্থলে থাকা বিড়াল গুলো নীচু স্বরে ডাকলেও কম্পাঙ্ক থাকে বেশি। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, আগের গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়েছিলো, প্রাণীর ডাক তার আকারের  উপর নির্ভর করে। আর এই ডাকই সঙ্গী নির্বাচনে বা নিজ বিচরণক্ষেত্র ঠিক রাখতে ব্যবহার করে এসব বনবিড়ালগুলো।

জার্মানির আলেকজান্ডার কোয়িনিগ জুওলজিক্যাল রিসার্চ মিউজিয়ামের গবেষক ড. গুস্তাভ পিটার্স এবং ড. মার্সেল পিটার্সের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গবেষণা কাজে অনেক বেশি দূরত্বের ডাকের কম্পাঙ্ক পরীক্ষা করে দেখেছেন তারা। গবেষকরা জানিয়েছেন, গলার বিশেষ গড়নের কারণেই সিংহ, বাঘ বা জাগুয়ারের মতো বনবিড়ালগুলো গর্জন করতে পারে। আর অন্যান্য সাধারণ বিড়ালগুলো কেবলই মিয়াও স্বরে ডাকে। গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে লিনেন সোসাইটির বায়োলজিক্যাল সাময়িকীতে।

খবর- bdnews24