কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর গ্রামে গত শুক্রবার দুই বংশের লোকজনের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর গতকাল শনিবার আবারও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাঙচুর ও কয়েকটিতে আগুন দেওয়া হয়। কুপিয়ে জখম করা হয়েছে একজনকে।

এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাদেকপুর গ্রামের ভূঁইয়া বংশ ও শেখ বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ভূঁইয়া বংশের উজ্জ্বল ভূঁইয়া নিহত হন। এরপর গতকাল বিকেলে শেখ বাড়ির লোকজন ফের ভূঁইয়া বংশের মস্তু মিয়াকে (৩০) পেয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে, উজ্জ্বল ভূঁইয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে বাড়িতে নিয়ে আসার পর ভূঁইয়াবাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে শেখ বংশের লোকদের প্রায় ৪০টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং মনির উদ্দিন মাস্টার ও তাঁদের সমর্থক আ. মালেক খানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে ভৈরব থেকে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির জানান, আজকের ঘটনায় শাহনেওয়াজ এবং তাঁর ছেলে শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া, শুক্রবার সংঘর্ষে নিহত উজ্জ্বল মিয়ার বাবা ছাত্তার মিয়া বাদী হয়ে গতকাল রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।ওসি আরও জানান, শুক্রবারের সংঘর্ষের সময় আটক ২০ জনের মধ্যে ছয়জনকে ১৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন, ইসলাম উদ্দিন, তাহের মিয়া, জামাল খান, আবু তালেব সিকদার, রুবেল শেখ ও শিপন মিয়া।

-Prothom Alo