কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের চান্দপুর ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলামকে (২৩) হাত-পায়ের রগ কেটে, মুখে এসিড মেরে খুন করে একটি পরিত্যক্ত রাইস মিলের কাছে ফেলে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গতকাল বুধবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, নজরুল মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় দিলীপ আচার্যের স্টুডিও থেকে ছবি নেন। রাত সাড়ে ১০টার সময় মানিকখালী বাজারের জালাল মিয়ার চায়ের দোকান থেকে শিঙাড়া খাওয়ার সময় তাঁর মুঠোফোনে কল এলে কথা বলতে বলতে বের হয়ে যান। এরপর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে জনৈক মহিলা ইনসাফ আলীর পরিত্যক্ত রাইস মিলের পাশে তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখে এলাকাবাসী ও নজরুলের স্বজনদের জানালে তারা এসে লাশ শনাক্ত করে।

নিহত নজরুলের বড় ভাই আবদুস ছামাদ বলেন, ‘আমার ছোট ভাই সিয়াম লাইব্রেরি নামে একটি ব্যবসা পরিচালনা করত। সে কটিয়াদী ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান শাখার ছাত্র। গত দুই মাস আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের চান্দপুর ইউনিয়ন সভাপতি নির্বাচিত হয়। সে প্রতি ওয়ার্ডে গরিব মানুষকে দলের পক্ষ থেকে কিছু সরঞ্জামাদি দেওয়ার একটি তালিকা প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত ছিল।

ইদানীং তার জনপ্রিয়তা দেখে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার ভাইকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।নিহত নজরুলের চাচা আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নজরুল খুবই জনপ্রিয় ছিল। তার হত্যার পর কতিপয় লোক ব্যবসা ফেলে পালিয়েছে। বিষয়টি আমার সন্দেহ হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ভাতিজার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।নজরুলের মা সালেহা বাকরুদ্ধ অবস্থায় বলেন, ‘রাজনীতিই আমার ছেলের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

চান্দপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমার জানামতে নজরুল খুবই শান্ত, বিনয়ী ও সমাজহিতৈষী ছিল। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করবে, এটা ভাবতেই পারি না।’উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা বলেন, নজরুল একজন সমাজসেবক ছিলেন। মানুষের কষ্টে এগিয়ে আসতেন।

কটিয়াদী থানার ওসি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খুবই রহস্যজনক ও ম্পর্শকাতর।   দ্রুত রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।

-প্রথম আলো