হাওরের অষ্টগ্রাম উপজেলার কৃষক সিদ্দিক মিয়া (৪২) বলেন, সরকারের কাছ থেকে দুই মাইল নদী ইজারা নিয়ে ১০ মাইল নদী দখল করে রাখেন প্রভাবশালী ইজারাদার ও তাঁর সহযোগীরা। ফলে নদী থেকে পানি, মাছসহ কোনো কিছুই গ্রামবাসী সংগ্রহ করতে পারে না। এর ফলে সেচ দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন হাওরের কৃষকেরা। ফলে বোরো উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

ভৈরব উপজেলার জেলে মো. সালাম (৪৫) বলেন, নদী ইজারা নিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করে দেন ইজারাদারেরা। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীর ভাসান এলাকায় খুঁটি মেরে নদীর সব অংশ তাঁদের দখলে নিয়ে নেন। ফলে হাওরের হাজার হাজার জেলে ভাসান পানিতে মাছ ধরতে না পেরে পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

গত সোমবার কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘কৃষকের শুনানি’ শিরোনামে এক কর্মশালায় হাওরের কৃষক ও জেলেরা এভাবেই তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরে সমাধানের দাবি জানান। বেসরকারি সংস্থা সাদ বাংলাদেশ ও আইডিয়ার উদ্যোগে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কৃষক ও জেলেদের নানা অভিযোগ শুনে উপস্থিত কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে কৃষক ও জেলেদের আশ্বস্ত করেন।

-প্রথম আলো