বিরোধী দলের সমালোচনার মধ্যেই আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বললেন, গামা হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতদের রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই ক্ষমা করেছেন।এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মনে করছেন তিনি। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর জোট সরকারের উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহমেদ গামা হত্যা মামলায় মৃতুুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। দণ্ডিতরা সবাই সরকারি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।দণ্ড মওকুফের প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বলে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করে এভাবে সাজা মওকুফ আইনের শাসনের পরিপন্থী।

 এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বিতর্কিত করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গামা হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২০ আসামিকে ক্ষমা করেছেন।”এ দণ্ড মওকুফের জন্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই”।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, “সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের যে কোনো দণ্ড মওকুফ করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির নিজস্ব এখতিয়ার। আসামিরা মৃত্যুদণ্ড মওকুফের জন্য আবেদন করেছেন। আবেদন ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপতি তাদের দণ্ড মওকুফ করেছেন।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হওয়ার আগে আইনমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন।আইন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “যারা ২০ আসামির দণ্ড মওকুফ নিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ ও ক্ষমতাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন, অতীতে তারাও একই কাজ করেছেন। কাজেই বিতর্ক সৃষ্টির আগে তাদের উচিত আয়নায় নিজের চেহারা দেখে নেওয়া।”

নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী জানান, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান প্রধান বিচারপতি অবসরে যাবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেবেন।

বিডিনিউজ